সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা ড. দেবাশীষ মৃধা। বক্তব্য রাখেন মন্দিরের প্রতিষ্টাতা চিনু মৃধা, কো অর্ডিনেটর রতন হাওলাদার, প্রিস্ট পূর্নেন্দু চক্রবর্তী অপু, অজিত দাশ, রাখি রঞ্জন রায় প্রমুখ। পরে ভালোবাসা দিবসের আবহে উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে মন্দিরের হলরুম ভালোবাসা দিবসে আনন্দ উৎসবের পাশাপাশি পোশাকে ছিল রঙের সমাহার। অনেকেই পরনেই ছিল লাল রং পোষাক। ছোট-বড় সব বয়সী মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উৎসব পেয়েছে প্রাণ। ব্যতিক্রমী আয়োজনে দম্পতির জন্য ছিল কুইজ প্রশ্ন, ফ্যাশন শো, নৃত্যসহ বিভিন্ন পরিবেশনা। দ্বৈত নৃত্য পরিবেশন করেন পৃথা দেব এবং মৌসুমী দত্ত।

পরে ভ্যালেন্টাইনস ডে এবং বিয়ে বার্ষিকীর কেক কাটেন দুই দম্পতি। তারা হলেন মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা ড. দেবাশীষ মৃধা ও তার সহধর্মিনী চিনু মুধা এবং মন্দিরের প্রিস্ট পুর্নেন্দু চক্রবর্তী অপু ও চন্দনা বানার্জী। একই সময়ে কেক কেটে জন্মদিন পালন করেন মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা ড. দেবাশীষ মৃধা, মন্দির ম্যানেজিং কমিটির অন্যতম সদস্য রাখি রঞ্জন রায়, সুপ্রভাত মিশিগান সম্পাদকের পুত্র ইঞ্জিনিয়ার তন্ময় আচার্য্য ।
সবশেষে ডিনার ও ফটো সেশনে অংশগ্রহণ করেন সবাই। সাজ সজ্জায় ছিলেন অলক চৌধুরী ও মৃদুল সরকার। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন চিনু মৃধা, সুপর্না চৌধুরী এবং মৌসুমী দত্ত।

ভালোবাসা দিবস শুরুতে ধর্মীয় প্রেক্ষাপটে উদযাপিত হলেও সময়ের পরিক্রমায় এটি হয়ে উঠেছে ভালোবাসার বহুমাত্রিক উৎসব। এই দিবসটি যুক্তরাষ্ট্র বা পাশ্চাত্য সমাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। বর্তমানে এই দিবসটি দেশে দেশে আনন্দ উন্মাদনার সঙ্গে পালন হয়। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের মানুষেরা এই দিবস উপলক্ষে এই দিনে প্রায় কয়েক কোটি ডলার ব্যয় করে। উপহার, ফুল, ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে এই দিনটি উদযাপন করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রে এই দিনে প্রায় আনুমানিক ৩ কোটি শুভেচ্ছা কার্ড আদান-প্রদান করা হয়।